আপনি কি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছে?আপনার কি মার্কেটিং শেখার অনেক ইচ্ছা?তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য।আমাদের দেশে বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি সবার আগ্রহটা বেশি।বর্তমান ে অনেক লোকজন আছে যারা তাদের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে, একটা স্টাঅ্যাপ কাজ করতে চাচ্ছে।এটা করার একটাই কারন, এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারছেন।কোনঁ বসের ঝামেলা নেই।নিজের ইচ্ছে কাজ কর্ম করতে পারলেন।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি চাইলে একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করাতে পারেন।আগের দিনে মানুষ নিজেদের ব্যবসা খুব বড় করতে পারে নি।কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, তাদের প্রতিষ্ঠান অনেক বড় করেছে।আগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো,টিভিতে অ্যাডের মাধ্যমে,রেডিও, পোস্টারের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসার প্রচার করতো।এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো,ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসার প্রটার করছে।তো আজকে আমারা শিখবো ডিজিটা মার্কেটিং কি?সাথে এটি কিভাবে শেখা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য খুব দ্রত এবং অনেক মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।ডিজিটাল মার্কেটিংকে প্রযুক্তির েকটি অন্যতম ক্ষেএ হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।বর্তামনে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুনাম করছে বা জয়জয় কার করছে।
আমাদের দেশে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠান প্রচার ও প্রসার খুব দ্রুত করতে পারছে এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেক উন্নতি হচ্ছে। এবার জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেএগুলো কি কি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেএগুলো কি কি?
⏩সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
⏩ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
⏩ইমেল মার্কেটিং।
⏩এফিলিলেট মার্কেটিং।
⏩কন্টেন্ট মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেএগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করবো!
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ব্তমানে সবথেকে বেশি মানুষ সেশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।যেকোনো পণ্য প্রচার বা প্রসারের জন্য বেছে নিতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরম।এটা এত বিশাল প্লাটফরম যে আপনি চাইলে এই মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার পণ্য বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি অনেক বড় করতে পারবেন।সোশ্যাল মিডিয়া যেমন আপনার পণ্যের প্রচার করবে,ঠিক তেমনি আপনার পণ্য গুলো মানুষ কেনার জন্য আগ্রহ করবে।
তাই বসে না থেকে আজ থেকে শুরু করে দিন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
একটি ওয়েবসাইটকে গুগল বা অন্যান্য সার্চ রেজাল্টে সবার উপরে থাকার জন্য সা্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে আর এটাকেই বলে SEO।যে কোন প্রকার ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর আনার জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সাইটে যত বেশি ভালো এসইও করা হবে,তত বেশি ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে।
তাই কোনো ব্যবসা বা পণ্য অধিক প্রচারের জন্য Seo এর বিকল্প নেই।
ইমেল মার্কেটিং
বর্তমানে ইমেল ব্যবহার হয়ে থাকে প্রফেশনাল কাজে।আপনি আপনার টার্গেট করে ইমেল সংগহ করতে পারেন।তাপরে আপনার পণ্যের একটা ছবি দিয়ে এবং সাথে পন্যে লিংক দিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারেন আপনার সংগ্রহ করা মেইলে।এভাবে আপনার পন্যে প্রচা করতে পারেন খুব সহজে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
সাধারনত ২টি প্রতিষ্ঠানের মিলে নিজেদের পণ্য প্রচার করে তাকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। মনে করেন একটা প্রতিষ্ঠানের পন্য অনেক আছে,কিন্তু কোনো কেনার ব্যাক্তি নেই।দেকা যাচ্ছে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আনেক ফলোয়ার আছে কিন্তু কোনো,পন্য নেই।এই দুইজন মিলে পন্য এবং ফলোয়ার দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান চালাতে পারে।এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কে কত টাকা নিবে সেট ঠিক করলো।একটাতে ২জনই লাভবান হলো।
কন্টেন্ট মার্কেটিং
কনটেন্টকে যে কোন প্রতিষ্ঠান প্রাণ বলা হয়। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনার পণ্যের কিছু বিষয় লিখে তা পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার পণ্য প্রচার প্রসার করতে পারেন। এটি লেখার মাধ্যমে আপনার পণ্যের সুবিধা এবং অসুবিধা লোকজন জানতে পারবে এবং কেনার জন্য আগ্রহ করবেন।
এই ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবো?
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভান্ডার বলতে ইউটিউব কে বোঝায়।আপনি এখানে সার্চ করে করে আপনার পছন্দের টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।ইউটিউবের মাধ্যমে আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন।
তাছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং ের উপর।কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন।আপনি যার কাছ থেকে শিখছেন সে কি আয় করতে পারছে কিনা।অেনে আছে অল্প কিছু যানে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে একটা কোর্স করাচ্ছে। সে নিজেই আয় করতে পারেনা অন্যকে কেমনে শিখবে।তাই এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
শেষকথা
আপনি যদি লেগে থাকে, তাহলে কোনো কাজই অসম্ভবনয়।তাই সবাইকে বলবো চেষ্টা করতে থাকুন। ধন্যবাদ